নিজস্ব প্রতিবেদক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঁদা না পেয়ে ঠিকাদার ও শ্রমিককে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত দুইজনকে হামলার পর রবিবার সকাল আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে একটি মসজিদ নতুনভাবে নির্মাণের জন্য মসজিদের রড, ইটসহ পুরো বিল্ডিং ক্রয় করে ঠিকাদার মো. শামীম। ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় জেলা শহরের বালুবাগান জামে মসজিদের পুরো ভবন ক্রয় করে শামীম। মসজিদ কমিটির সাথে দুই মাস মেয়াদে চুক্তি হলেও এক মাস পেরিয়েছে। রবিবার স্থানীয় বাসিন্দা বীরু ঠিকাদার শামীমের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্ত শামীম তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাবিস সরানোসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়৷
এরপর মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইফুল ইসলাম মতিনসহ স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টির সমাধানের জন্য আলোচনায় বসে। তবে মিমংসার এক পর্যায়ে বীরুর ছেলে মো. রবিনসহ তার ৫-৬ জনের দলবল নিয়ে ঠিকাদার শামীম, শ্রমিক সাদ্দামের উপর ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ইট ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আকস্মিক হামলা চালায়। আহতদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালে প্রেরন করে স্থানীয়রা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসারত ঠিকাদার শামীম জানান, হামলার সময় আমাদের কাছে থাকা ১ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা ও একটি মেশিন তারা ছিনিয়ে নেয়। আমার মাথায় ৬টি ও সাদ্দামের মাথায় ৪টি সেলাই হয়েছে। আমরা এই হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
এ ঘটনায় সোমবার সদর মডেল থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছ। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. নজরুল ইসলাম জানান, আসামীদের ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ এবং তারা ঘটনার পর হতেই পলাতক রয়েছে।
বালুবাগান জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ডা. সাইফুল ইসলাম মতিন জানান, কিছু বোঝে উঠার আগেই ঘটনাটি আমাদের চোখের সামনেই হয়েছে। ইট দিয়ে দুইজনের মাথায় খুব বাজেভাবে আঘাত করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে অভিযুক্ত চাঁদার দাবিদার মো. বীরু মুঠোফোনে জানান, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়েছে এবং আমরা এখন পলাতক রয়েছি।
Leave a Reply